"মেয়েরাই উঠে এসেছে এ বইতে কথার পর কথায়, কিন্তু এ বই শুধু মেয়েদের বই নয়। এর মরমিয়া কথন, বিষয়ের ব্যাপ্তি সবাইকে দিয়ে পড়িয়ে নেবে গল্পগুলোকে। উপরি পাওনা মনস্তত্ত্বের নিখুঁত মিশেল আর শ্লেষের নির্দয় চাবুক। ব্যথা নিরোধক যন্ত্র গল্পটি খুব নাড়া দেয়। দত্তক, একটি মেয়েলি দুপুর, গোধূলিসন্ধি, সবগুলোই গতানুগতিকতার বাইরে অন্য গল্প। আর রয়েছে কল্পবিজ্ঞান টিট্টিভ । তাকে সার্থক গল্প করে তোলার কাজটি যশোধরা করেছেন অবলীলায়।" পড়লেন প্রতিভা সরকার ... ...
বিশ্বসাহিত্যের ২২ জন বিখ্যাত লেখকের কয়েকটি সাক্ষাৎকারের সমাহার নৈঃশব্দের সংলাপ বইটি। এখানে লেখকেরা জানিয়েছেন তাঁরা কীভাবে লেখালেখি করেন, কী ধরনের লেখা পড়তে ভালোবাসেন, কোন কোন লেখক তাঁদের প্রভাবিত করেছেন, লেখার ক্ষেত্রে কত ধরনের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা তাঁদের করতে হয় ইত্যাদি নানা বিষয়। পড়লেন সৌভিক ঘোষাল। ... ...
লেখকের মতে বিধবাবিবাহ আইন পাশ করানো নিয়ে লেখালেখি এবং অপমানিত ও ঋণগ্রস্ত হওয়ার পেছনে প্রেরণা বিধবাদের দুঃখকষ্টে দ্রবিত হওয়া নয়, বরং অন্য তাঁর অন্য কোন হিডেন এজেন্ডা ছিল। কী সেই এজেন্ডা? ধর্মশাস্ত্রের অপব্যাখ্যার মাধ্যমে কলোনিয়াল শাসকেরা হিন্দু বিধবাদের সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চেয়েছিল। প্রথমে প্রায় ৬২ বছর আগে জোন্স মনুসংহিতার কথিত অনুবাদের মাধ্যমে যে হিন্দু আইন প্রণয়ন করেছিলেন তাতেই বিধবাদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার ব্যবস্থা হয়েছিল। তারপরে বিধবাবিবাহ আইনের মাধ্যমে তাদের মৃত স্বামীর সম্পত্তি ও স্ত্রীধন থেকেও বঞ্চিত করা হল। এবং তাতে বিদ্যাসাগরের সক্রিয় সহযোগিতা ছিল। এবং তিনি তা কলোনিয়াল প্রভুদের স্পষ্ট আদেশ পেয়ে অনুপালন করেছেন মাত্র। ... ...
লেখক যত্ন নিয়ে দেখিয়েছেন যে ইংরেজ আসার আগে মোগল আমলে ভারতে বিচারপদ্ধতি কী ছিল ও কলোনিয়াল শাসক তাতে কী কী পরিবর্তন করল। উনি বিস্তারিত আলোচনা করে দেখাতে চেয়েছেন যে হিন্দু আইন কতটুকু শাস্ত্র মেনে তৈরি হয়েছিল বা তার কোন অংশটুকু সাহেবরা নিজেদের স্বার্থে বিকৃত করেছে এবং তার ফলে মেয়েরা এবং বিধবারা তাদের প্রাচীন প্রথায় যতটুকু সম্পত্তির অধিকার ছিল তাও হারিয়েছে। এবং সর্বশেষে এই আইন প্রণয়নে এবং তাঁর সংশোধনে ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা ঠিক কী ছিল। ... ...
"বিদ্যাসাগর একাকী বিচ্ছিন্ন নিঃসঙ্গ ট্র্যাজিক নায়ক। আমার পছন্দের মহাপুরুষ। যাঁর কথায় কাজে ফাঁক নেই, ফাঁকি নেই। কিন্তু উপরের বইটি আমার সযত্নে লালিত এতদিনের বিশ্বাসের গোড়া ধরে টান দিয়েছে। বিভিন্ন তথ্য ও বিশ্লেষণ দিয়ে দেখাতে চাইছে যে উপরের অনেকগুলো আখ্যান ভক্তজনের তৈরি মিথ, অতিকথন বা প্রেক্ষিত থেকে আলাদা করে টেনে মানে করা, চটজলদি সিদ্ধান্ত নেয়া।" - দেবোত্তম চক্রবর্তীর গ্রন্থ “বিদ্যাসাগর: নির্মাণ-বিনির্মাণ-পুনর্নির্মাণের আখ্যান” বইটির পাঠপ্রতিক্রিয়া, লিখছেন রঞ্জন রায়।। ... ...
"বিদ্যাসাগর একাকী বিচ্ছিন্ন নিঃসঙ্গ ট্র্যাজিক নায়ক। আমার পছন্দের মহাপুরুষ। যাঁর কথায় কাজে ফাঁক নেই, ফাঁকি নেই। কিন্তু উপরের বইটি আমার সযত্নে লালিত এতদিনের বিশ্বাসের গোড়া ধরে টান দিয়েছে। বিভিন্ন তথ্য ও বিশ্লেষণ দিয়ে দেখাতে চাইছে যে উপরের অনেকগুলো আখ্যান ভক্তজনের তৈরি মিথ, অতিকথন বা প্রেক্ষিত থেকে আলাদা করে টেনে মানে করা, চটজলদি সিদ্ধান্ত নেয়া।" - দেবোত্তম চক্রবর্তীর গ্রন্থ “বিদ্যাসাগর: নির্মাণ-বিনির্মাণ-পুনর্নির্মাণের আখ্যান” বইটির পাঠপ্রতিক্রিয়া, লিখছেন রঞ্জন রায়।। ... ...
আগের অধ্যায়েও এই কথাটি বলার চেষ্টা করেছি—কোম্পানি আমলে ইংরেজি শিক্ষার চাহিদা ও প্রসার প্রধানত কলকাতার উচ্চবিত্তদের মধ্যে সীমিত ছিল। কিন্তু ইংরেজের ফোর্ট উইলিয়ম কালেজের সাহায্যে ‘দেশে বাঙ্গালা ভাষার চর্চা’ এবং ‘বাঙ্গালা শিক্ষার জন্য পাঠশালা” স্থাপন? তাহলে বিশাল গ্রামীণ সমাজ ও পাঠশালার স্ট্রাকচার যা কিনা প্রাচীন সময়েও রাজানুগ্রহের অপেক্ষায় থাকত না, আজ কীভাবে ‘প্রান্তিক’ হয়ে পড়ল? এখানে লেখকের দেয়া সাক্ষ্য লেখকের প্রেমিসের বিরুদ্ধে যাচ্ছে না কি? দেখা যাচ্ছে, কোম্পানির সরকার এদেশে মাতৃভাষায় শিক্ষা প্রসারে আগ্রহী। এই প্রেমিসটি না মানলে সরকারি পয়সায় ভার্নাকুলার মাধ্যমে শিক্ষাবিস্তারে টোমাসন, হার্ডিঞ্জ মডেল এবং বিদ্যাসাগর মডেলের কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা অর্থহীন হয়ে পড়ে । ... ...
একগুচ্ছ প্রবন্ধ। বত্রিশ বছর সময়কালে রচিত। বিষয়ের নিরিখে চার ভাগে বিভক্ত—সাহিত্য, ইতিহাস, শিল্প, সমাজ। লেখক অরুণ নাগ। ভাবনার জগতে নাশকতা ঘটানো লেখাগুলির অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য। পড়লেন শুভময় মণ্ডল ... ...
সপ্তম অধ্যায়ে লেখক বলছেন, সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ রূপে বিদ্যাসাগর ‘লাভ করেন অসীম দাপট, অবাধ ক্ষমতা ও একক কর্তৃত্ব’। তারপর বিদ্যাসাগর ওই কলেজে শিক্ষাসংস্কারের জন্যে যা করেছেন সেগুলোকে লেখক ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গবেষণাকে ভিত্তি করে আটটি বিন্দুতে বেঁধেছেন। তারপর ওই সংস্কারগুলোর নিজস্ব মূল্যায়ন করতে গিয়ে বেশ কিছু অজানা তথ্যের দিকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। আমরাও এ’ব্যাপারে লেখককে অনুসরণ করব। ... ...
একগুচ্ছ গদ্য। রবীন্দ্রনাথের। অধিকাংশই সমসাময়িক নানা প্রসঙ্গে জবাব দেবার দায় থেকে রচিত। লেখাগুলি পূর্বে গ্রন্থিত। কিন্তু সহজলভ্য নয়। এ সংকলন এনে দিল আগ্রহীদের হাতের কাছে। পড়লেন সুমন্ত মুখোপাধ্যায় ... ...
আমরা ইতিমধ্যে দেখেছি যে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে উদ্ভুত নব্য জমিদার ও নব্য ধনী মধ্যবিত্ত শ্রেণির গাঁটছাড়া বাঁধা রয়েছে কলোনিয়াল প্রভু ইংরেজের কায়েমি স্বার্থের সঙ্গে। তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার একটি অভিমুখ হল ইংরেজি শিক্ষালাভ। কিন্তু এহ বাহ্য। আগে কোম্পানি যে ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ শুরু করল তাতে পড়ানো হত-আরবি, ফার্সি, হিন্দুস্তানি, সংস্কৃত, বাংলা ও অন্যান্য দেশিয় ভাষা। ... ...
স্বাস্থ্যব্যবস্থার নিরঙ্কুশ বাণিজ্যায়ন। সামাজিক অভিভাবক থেকে মুনাফা-তাড়িত পরিকাঠামোর প্রতিনিধি হিসেবে চিকিৎসকদের ভূমিকার বিবর্তন। চরম সরকারি উদাসীনতা ও দুর্নীতি। ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’— এই লক্ষ্য থেকে রাষ্ট্রের পশ্চাদপসরণ। ভারতের স্বাস্থ্যপরিষেবার অজুত সমস্যা। ও তারই মধ্যে কিছু বিরল সাফল্যের উদাহরণ। একটি বই। পড়লেন স্বপ্নময় চক্রবর্তী ... ...
আমাদের ছোটবেলায় একজাতের বই বাড়িতে এবং স্কুলে অবশ্য পাঠ্য ছিল – মহাপুরুষদের জীবনী। তাতে ক্ষুদিরাম, নেতাজি ও সূর্য সেনের মত স্বাধীনতা সংগ্রামী, রামমোহন, বিদ্যাসাগর ও আম্বেদকরের মত সমাজসংস্কারক, রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎচন্দ্রের মত সাহিত্যিক এবং চৈতন্য, রামকৃষ্ণ ও বিবেকানন্দের মত ধর্ম সংস্কারক সকলেই একসারিতে জায়গা পেতেন। এঁদের জীবনীর একটি ছাঁচ আছে। এঁরা কোন বিশেষ ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালনে প্রেরিত। এঁদের জন্মসূত্রেই প্রতিভার স্ফুরণ দেখা যায়। এঁরা কখনও ভুল করেন না। কাজেই ভুল স্বীকার করার প্রশ্ন ওঠে না। ... ...
নির্বাচিত ও চর্চিত চোদ্দোটি কবিতা। আলোচিত হয় সেগুলি রচনার ইতিহাস, রাজনীতি, সমাজ, সংস্কৃতিসহ পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রেক্ষিত। এমনকি উদ্ধৃত নানা তরজমার মাধ্যমে বিকশিত হয় একই কবিতার বিবিধ পাঠও। সব মিলিয়ে উন্মোচিত হয় কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যের ভিন্নতর পাঠের দিক্নির্দেশ। সুমিতা চক্রবর্তী-সম্পাদিত একটি বই। পড়লেন ইমানুল হক ... ...
দুই লেখক। দুটি সংকলন। একটি আখ্যান সিরিজ। একটি গল্পসমগ্র। উঠে আসে সমাজ ও সামাজিক ধ্বস্ততার ছবি। যাপনের অনুপুঙ্খতায় শহুরে, আধা-শহুরে মধ্যবিত্ত জীবন। পড়লেন সাত্যকি হালদার ... ...
এ তনু ভরিয়া — দর্শন আপাদমস্তক। লেখক অরিন্দম চক্রবর্তী। দেহকে আরও ভালোভাবে বুঝে নেওয়ার তাগিদে তার দার্শনিক বিচার-বিশ্লেষণ। দার্শনিক প্রশ্ন তোলা ও তার উত্তরে দার্শনিক যুক্তিবিন্যাসই বইটির অবলম্বন। পড়লেন দর্শনের অধ্যাপক অমিতা চট্টোপাধ্যায় ... ...
রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন ‘সর্বশ্রেষ্ঠ মানব’। গোতম বুদ্ধ। তাঁর জীবন ও শিক্ষার মর্মের এক নিরন্তর যুক্তিবাদী খোঁজ। প্রাঞ্জল ভাষায় রচিত একটি সাম্প্রতিক বই। পড়লেন পালিভাষার অধ্যাপক জয়ন্তী চট্টোপাধ্যায় ... ...
গৌরী লঙ্কেশ। হিন্দুত্ববাদীদের ষড়যন্ত্রে নিহত অকুতোভয় সাংবাদিক। তাঁর আটটি নিবন্ধের বাংলা তরজমা ও সঙ্গে লেখকপরিচিতি। আবেগের প্রকাশ এবং প্রয়োজনের তাগিদ— এ দুয়ের সমন্বয় ঘটানোর দুরূহ কাজটি সুসম্পন্ন হওয়া একটি জরুরি বই। পড়লেন মীরাতুন নাহার ... ...
চেনা দৃশ্য, পরিচিত মানুষজন হয়ে ওঠে বর্ণময়। আর সেই রঙিন মোড়কের আড়ালে রয়েছে এক হিংস্র ও নিষ্ঠুর জীবনের ছবি। পাঠক নিমজ্জিত হন এক চমকপ্রদ মায়াবী জগতের ভিতর। ছোটা ছোটো মোচড়ে পরতে পরতে ফ্যান্টাসি জড়ানো গল্পগুলির মধ্যে বারবার নানা চোরাটান, ঘূর্ণি ও অভিঘাত তৈরি হতে থাকে। একটি গল্পসংকলন। লেখক সুদীপ বসু। পড়লেন রাহুল দাশগুপ্ত ... ...